করোনারি ধমনী (হার্ট) রোগ,স্ট্রোএবং , হার্ট অ্যাটাক এবংপেরিফেরাল ধামনিক রোগ কী

 

করোনারি ধমনী (হার্ট) রোগ,স্ট্রোএবং , হার্ট অ্যাটাক  এবং

পেরিফেরাল ধামনিক রোগ কী

 

  করোনারি ধমনী (হার্ট) রোগ

হৃদরোগের লক্ষণগুলি পুরুষ ও মহিলাদের ক্ষেত্রে আলাদা হতে দেখা যায়। তবে হৃদরোগ আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের মতে  উভয় লিঙ্গের এক নম্বর ঘাতক হিসাবে রয়ে গেছে। সর্বাধিক সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে তা নিচে উল্লেখ করা হল:

1. এনজিনা, বুকে ব্যথা
2. বমি বমি ভাব
3. চরম ক্লান্তি
4. নিঃশ্বাসের দুর্বলতা
5. ঘাড়, চোয়াল, তলপেটে বা পিঠে ব্যথা
6. আপনার হস্তমুখে অসাড়তা বা শীতলতা

স্ট্রোক

উচ্চ কোলেস্টেরলের ফলে আপনার মস্তিষ্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশে রক্ত   সরবরাহ কমে যায় বা বন্ধ হয়ে যাওয়ার গুরুতর ঝুঁকি রয়েছে। স্ট্রোক হলেই  এই ঘটনাটি  ঘটে থাকে।

স্ট্রোক হ'ল মেডিকেল ভাষায়  ইমার্জেন্সি। যা আপনি বা আপনার পরিচিত কেউ স্ট্রোকের লক্ষণগুলি অনুভব করেন তবে অবশ্যই চিকিৎসা করার চেষ্টা করা গুরুত্বপূর্ণ। এই লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে যেমন:

1. ভারসাম্য এবং সমন্বয় হঠাৎ হ্রাস
2. হঠাৎ মাথা ঘোরা
3. মুখের অসম্পূর্ণতা (চোখের পলক এবং মুখ কেবল একপাশে)
4. স্থানান্তরিত করতে অক্ষমতা, বিশেষত শরীরের কেবল একদিকে প্রভাবিত করে
5. বিভ্রান্তি
6. ঝাপসা শব্দ
7. বিশেষ করে দেহের একপাশে মুখ, বাহু বা পায়ে অসাড়তা
8. অস্পষ্ট দৃষ্টি, কালো দৃষ্টি বা দ্বিগুণ দৃষ্টি
9. হঠাৎ গুরুতর মাথাব্যথা
10. রুবিকান প্রকল্প দ্বারা চালিত
11. হৃদপিন্ডে হঠাৎ আক্রমণ

হার্ট অ্যাটাক

হৃদপিণ্ডের সরবরাহকারী ধমনীগুলি রক্তের সাথে  ফলক তৈরির কারণে ধীরে ধীরে সংকীর্ণ হতে পারে। এথেরোস্ক্লেরোসিস নামে পরিচিত এই প্রক্রিয়াটি সময়ের সাথে আস্তে আস্তে ঘটে এবং এর কোনও লক্ষণ দেখা যায় না। অবশেষে, ফলকের টুকরোটি ভেঙে যেতে থাকে। যখন এটি  ঘটে তখন ফলকের চারপাশে একটি রক্ত   জমাট বাঁধা দেখা যায়। এই প্রক্রিয়াটি  মাধ্যমে হৃৎপিণ্ডের পেশীতে রক্ত   প্রবাহকে আটকাতে এবং অক্সিজেন এবং পুষ্টি থেকে বঞ্চিত করতে পারে।

এই বঞ্চনাকে বলা হয়ে থাকে  ইস্কেমিয়া ।যখন হৃৎপিণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা অক্সিজেনের অভাবে হার্টের কিছু অংশ মারা যেতে থেকে,তখন একে হার্ট অ্যাটাক বলে। হার্ট অ্যাটাকের জন্য মেডিকেল ভাষায় শব্দটি হ'ল মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন।

আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কারও কারও প্রতি 34 সেকেন্ডে প্রায় হার্ট অ্যাটাক হতে দেখা গিয়েছে ।

হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:

1. সঙ্কুচিত হওয়া, পূর্ণতা, ব্যথা, বা বুকে বা বাহুতে ব্যথা
2. শ্বাস নিতে সমস্যা
3. উদ্বেগ বা আসন্ন আযাবের অনুভূতি
4. মাথা ঘোরা
5. বমি বমি ভাব, বদহজম বা অম্বল
6. অতিরিক্ত ক্লান্তি

হার্ট অ্যাটাক হ'ল মেডিকেল ভাষায়  ইমার্জেন্সি। যা হার্ট অ্যাটাকের পরে যদি প্রথম কয়েক ঘন্টা চিকিৎসা  শুরু করা না হয় তবে হার্টের ক্ষতি অপরিবর্তনীয়  হতে পারে।

যদি আপনি বা আপনার পরিচিত কেউ  হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলি অনুভব করেন তবে চিকিৎসা  করার চেষ্টা করুণ ।

পেরিফেরাল ধামনিক রোগ

উচ্চ কোলেস্টেরলের ফলে  পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজ (পিএডি) দেখা দিতে পারে যখন ধমনীর দেয়ালে প্লাক তৈরি হয়। এটি কিডনি, বাহু, পেট, পা এবং পায়ে রক্ত ​​সরবরাহকারী ধমনীতে রক্তের প্রবাহকে বাধা দেবে।

প্রাথমিক প্যাডের লক্ষণগুলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে যেমন:

1. ক্র্যাম্পিং
2. আক্ষেপ
3. ক্লান্তি
4. ক্রিয়াকলাপ বা অনুশীলনের সময় পায়ে ব্যথা হয়, 
5. পা এবং পায়ে অস্বস্তি

পিএডি বৃদ্ধির সাথে সাথে লক্ষণগুলি আরও ঘন ঘন ঘটে দেখা যায় এবং এমনকি আপনি যখন বিশ্রামে থাকেন তখনও ঘটে থাকে। রক্তের প্রবাহ হ্রাস হওয়ার কারণে যে সকল লক্ষণ দেখা যায় তা হল:

1. পাতলা, ফ্যাকাশে বা পা এবং পায়ের ত্বকে চকচকে ভাব
2. রক্ত সরবরাহের অভাবজনিত টিস্যুজনিত মৃত্যু, যাকে বলে গ্যাংগ্রিন
3. পা এবং পায়ে আলসার যা খুব ধীরে ধীরে আরোগ্য বা নিরাময় সহজে হয় না
4. পায়ে ব্যথা যা বিশ্রামের সময় চলে না
5. আপনার পায়ের আঙ্গুলের মধ্যে জ্বলন্ত ভাব অনুভব করা
6. লেগ বাধা
7. পুরু পায়ের নখ
8. পায়ের আঙ্গুলগুলি নীল হয়ে যায়
9. পায়ে চুলের বৃদ্ধি কমতে দেখা যায়
10. অন্যান্য পায়ের তুলনায় আপনার নিম্ন পা বা পাদদেশের তাপমাত্রা হ্রাস পায়

পিএডি আক্রান্ত ব্যক্তিদের হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক বা অঙ্গ কাটা হওয়ার ঝুঁকি বেশি দেখা যায় ।